, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ , ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশ্ব নাবিক দিবস

বাংলাদেশে নাবিকদের বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী উদযাপন

  • আপলোড সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০৬:২৭:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে নাবিকদের বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী উদযাপন ছবি - আইওএম

ঢাকা, বাংলাদেশ – অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গত ২৫শে জুন ২০২৫ তারিখে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘ডে অফ দ্যা সি ফেয়ার’ বা বিশ্ব নাবিক দিবস পালিত হয়েছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই দিনটি প্রতি বছর বিশ্বের সকল নাবিকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া (RAOWA) মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে দেশের সাবেক ও বর্তমান নাবিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আনাম চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পর্বে চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান নাবিকদের নানা চ্যালেঞ্জ, সমস্যা এবং সেগুলোর সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি তাঁর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন কীভাবে নাবিকরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কাজ করেন এবং কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন। প্রেজেন্টেশনের শেষ বক্তা ছিলেন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আব্দুল কাদীর। তিনি নাবিকদের পেশাগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নবীন ও প্রবীণ নাবিকদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে নাবিকদের পেশাগত জীবন, তাঁদের কাজের পরিবেশ এবং অবদান নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও প্রেজেন্টেশন প্রদর্শিত হয়। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা (আইএমও)-এর সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডোমিনগুয়েজ ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বৈশ্বিক পরিসরে নাবিকদের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নাবিকদের অবদানকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে নাবিকদের পেশাগত জীবনের উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য দেন। তিনি সামুদ্রিক পেশায় নারীদের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নাবিকদের মধ্যে সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে নাবিকদের অংশগ্রহণে গান ও কথোপকথন অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সিনিয়র ও জুনিয়র নাবিকদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপচারিতা এবং স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানটিকে আরও অর্থবহ করে তোলে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই জানান, বছরের বেশিরভাগ সময় সমুদ্র ও বিদেশে কাটানোর কারণে দেশীয় পরিবেশে একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ খুব কম হয়। এ ধরনের মিলনমেলা নাবিকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এই আয়োজনকে অত্যন্ত সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : নিজস্ব প্রতিবেদক

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশের সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ কি পেশাগত মানহানির পথে হাঁটছে?

বাংলাদেশের সামুদ্রিক ভবিষ্যৎ কি পেশাগত মানহানির পথে হাঁটছে?